কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ নিয়োগ । Cumilla DC Office Job Circular
Comilla DC Office Job, Comilla DC Office Job Circular
চাকরির বর্ণনাঃ
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োগের জন্য কুমিল্লা জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের থেকে দরখাস্ত আহ্বান করেছে
পদ সমুহঃ
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), খিলা ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), সরসপুর ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), মৈশাতুয়া ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), লক্ষণপুর ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), বাইশগাঁও ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), বিপুলাসার ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), ঝলম উত্তর ইউনিয়ন
- গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার), উত্তর হাওলা ইউনিয়ন
আবেদন করার প্রক্রিয়াঃ
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্রের সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ 30 Apr 2024 ইং তারিখ অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ’ বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
বিস্তারিত এই বিজ্ঞপ্তি তে দেখুন, (বিজ্ঞপ্তিটি ডাউনলোড করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন)
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলা ২৩°০১’ থেকে ২৩°৪৭’ ৩৬” উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯০°৩৯’ থেকে ৯১°২২’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত। কর্কটক্রান্তি রেখা কুমিল্লা জেলা অতিক্রম করেছে। এই জেলার কিছু অংশ গঠিত হয়েছে প্লাবন ভূমি দ্বারা এবং কিছু অংশ পাহাড়ি বৈশিষ্ট্যময়। বাকি অংশ সমতলভূমি।
এ জেলার প্রাচীনতম শিলাভূমি লালমাই পাহাড়ের গভীরে মায়োসীন যুগের শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে যার সময় তিনকোটি, সাড়ে তিনকোটি বছরের অধিক নয়।এ জেলার অধিকাংশ এলাকার ভূ-তাত্ত্বিক গঠন হয়েছে প্লাইস্টোসীন ও হলোসীন বা বর্তমান যুগেই।
কুমিল্লা জেলার ভৌগলিক ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যায় পার্গিটার রচিত পূর্ব-ভারতীয় দেশসমূহের প্রাচীনকালের মানচিত্রে।এই মানচিত্রে আজকের বাংলাদেশের এই অঞ্চলের দক্ষিণে সাগরনূপের, উত্তরে প্রাগজ্যোতিষ ও কিরাতসের অবস্থান চিহ্নিত রয়েছে। মোটামুটি ভাবে লোহিত্য নদীর অববাহিকায় প্রাগজ্যোতিষ ও পূর্বভাগের পাহাড়ের পাদদেশের অঞ্চল কিরাতস নামে অবিহিত ছিল। লোহিত্য নদীই বর্তমানের ব্রহ্মপুত্র। জেলার মধ্যভাগের সমতল- চান্দিনা প্লাবন সমভূমিই তখনকার দিনে গঠিত হয়েছিল ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলিদ্বারা। পরে অবশ্য নদীটি পশ্চিম দিকে সরে যায়। এই কিরাতসের মধ্য দিয়েই তিতাস নদীর গতিপথ চিহ্নিত। সুতরাং অনুমান করা যেতে পারে যে, প্রাগজ্যোতিষের পূর্বের অঞ্চল কিরাতসের অধিকাংশ স্থান নিয়েই আজকের কুমিল্লা জেলা গঠিত হয়েছে।
আকৃতি:
জেলাটি মোটামুটি ভাবে ত্রিভূজাকৃতির। দক্ষিণ দিক প্রশস্ত, উত্তর দিক সরু এবং এর মাথা পূর্ব দিকে খানিকটা ঝুকেঁ পড়েছে। মেঘনা সমভূমি হতে ত্রিপুরা পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। সমুদ্রতীর থেকে ত্রিপুরা পাহাড়ের পাদদেশের গড় উচ্চতা প্রায় ২৫ ফুট, আর মেঘনা সমভূমির পশ্চিম ভাগের গড় উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট। সুতরাং জেলার এই সমভূমির ঢাল মৃদু এবং পশ্চিম দিকে কুমিল্লা শহরের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত, উত্তর-দক্ষিণে প্রলম্বিত লালমাই পাহাড় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার নিম্ন জলাভূমি ব্যতীত সমগ্র সমভূমিটিকে সাধারণ ভাবে পশ্চিম-ঢাল সম্বলিত একটি সমতল ভূমি বলা যেতে পারে। ভূ-তত্ত্ব ও ভূ-গঠন শাস্ত্রে এটি ত্রিপুরা সমতল (Tippera proper) বলে অভিহিত হত। আর এ সমভূমির অধিকাংশ এলাকাই বর্ষাকালে ৫ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বর্ষায় পানির নিচে থাকলে ও এ সমভূমিতে ততটা পলি জমেনা। কারন মেঘনার পানি ততটা পলি বহন করে আনেনা। কিন্তু এ নিমজ্জিত মৃত্তিকা বেশকিছু কাল সিক্ত থাকার দরুন ভালভাবে চাষের উপযোগী হয়।
জলবায়ু,বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রাঃ
কর্কট ক্রান্তি রেখা কুমিল্লা জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার জন্য এ জেলা ক্রান্তীয় অঞ্চলের অর্ন্তভূক্ত। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই এখানে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। এ জেলায় বর্ষাকালে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হয় ও এখানকার শীতকালকে মোটামুটি ভাবে শুস্ক বলা যেতে পারে। এখানে বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ৮০ ইঞ্চি হতে ১২০ ইঞ্চি।শীতকালে বৃ্ষ্টিপাত খুবই কম, এক রকম হয়না বললেও চলে। জেলার গড়তাপ ৭৮ ডিগ্রী ফাঃ।মে মাসে তাপমাত্রার গড় ৮৬ ডিগ্রী ফাঃ নামে। শীতকালে জানুয়ারী মাসের গড় ৬৬ ডিগ্রী ফাঃ নামে। তবে এপ্রিল-মে মাসে কখনও তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রী ফাঃ হয় আর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত কখনও তা ৪৫ ডিগ্রী থেকে ৪২ডিগ্রী ফাঃ এ নামে ।
বনজ সম্পদ :
কুমিল্লা জেলার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য বনাঞ্চল নেই। এক কালে লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী অঞ্চলে প্রচুর বনজ সম্পদ ছিল। এখন নেই বললেও চলে। কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকা এবং চৌদ্দগ্রাম থানার কিছু অংশে কিছু কিছু বনজ সম্পদ দেখা যায়। তবে জলবায়ুর উষ্ণতা ও আর্দ্রতা, পলি গঠিত মৃত্তিকার উর্বরতা এবং অন্যান্য কারনে এ জেলার উদ্ভিদের যথেষ্ট প্রাচুর্য দেখা যায়। গাছপালার মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, তেঁতুল, বেল, বট বা অশ্বথ্থ, খেজুর, নারিকেল, তাল, নিম, রয়না বা পিতরাজ, শিমুলতুলা, মান্দার, সুপারি, কদম্ব, কড়ই, শেওড়া, হিজল, গাব, জাম্বুরা, কুল,বন্য জামরুল, জারুল, জলপাই, আমড়া, গামার বা মেড্ডা, শাল, শিশু, ঝাউ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।