করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মাথায় রেখেই তৈরি পোশাক কারখানা চালু , বেতন যথাসময়ে
বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং সংক্রমণের বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের তৈরি পোশাকখাতেও। বাতিল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ক্রয় আদেশ। ইতোমধ্যে এক দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে যা নিয়ে উদ্বেগে সংশ্লিষ্টরা। মহামারি আকারে ছড়াতে থাকা নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, পরিবহন বন্ধের ঘোষণা এলেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছ চলেছেন দেশের কয়েক লাখ তৈরি পোশাক শ্রমিক। তবে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শ্রমঘন পোশাকশিল্পে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে উৎপাদনে আছে শিল্প-কারখানাগুলো।
অপরদিকে ঝুঁকি বিবেচনায় এনে স্ব-বেতনে কারখানা বন্ধ করার পক্ষে শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন স্ব-বেতনে অনন্ত দুই সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হোক শ্রমিকদের। আবার অনেক শ্রমিক নেতা বলছেন, কারখানা চালু থাকলেও শ্রমিকের স্বাস্থ্যের বিষয়টি যথাযথভাবে দেখার পরামর্শ দেন। প্রতিটি কারখানায় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে সচেতন এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তারা।
তবে কারখানা বন্ধ করার কোনো কারণ নেই বলছেন উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, কাজ না থাকলে কেউ কারখানা বন্ধ করতে পারেন, সেটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে শ্রমিকের বেতন নির্দিষ্ট সময়ে দিতে হবে বলে মত তাদের। কারখানা চালু রাখার পক্ষে মালিকরাও। তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ করার কোনো কারণ নেই, সরকারের দিকনির্দেশনা মেনেই কারখানা পরিচালিত হবে।
কারখানা মালিকদের মতে, শ্রমিকের যথাযথ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে উৎপাদনে আছে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো। কারখানা বন্ধ হলে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে। তবে গার্মেন্টস বন্ধ হোক বা না হোক, বেতন বোনাস যথাসময়ের শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবে।